শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন-২০২২ কে কেন্দ্র করে দলের সদস্য, সাবেক সভাপতি ও ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস. এম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইমের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা, বিভ্রান্তিমূলক ও মানহানিকর তথ্য ছড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন
এস. এম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম। ২৩ মে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ ঘটিকার সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মিদের আয়োজনে শেরপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এস. এম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম বলেন,” আমি ছাত্রজীবন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এবং ৯০ এর স্বৈরাচার ও রাজাকার হটাও আন্দোলনে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে আন্দোলন করেছি। পরবর্তীতে আমি ঝিনাইগাতীর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হই এবং বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বিরোধী সক্রিয আন্দোলনে শরীক হই। সেই সাথে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-৩ (ঝিনাইগাতী- শ্রীবরদী) আসনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে সক্রিয় ভুমিকা পালন করি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০২ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হই। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার নেতৃত্বে নৌকা প্রতীক বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়। এরপর ২০১৪ সালের প্রথমার্ধে ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক এবং একই সালে অনুষ্ঠিত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে দ্বিতীয় দফায় বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় সভাপতি নির্বাচিত হই।

এই সম্মেলনেও আমার পক্ষে দলীয় শক্ত অবস্থানের কারণে স্বার্থান্বেষী মহলটি দলীয় কার্যালয়ে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরসহ আমাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। অপরদিকে আমি ২০০৯ ও ২০১৪ সালে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করলেও বিগত দুইটি সম্মেলনে নেতৃত্ব থেকে ছিটকে পড়া একটি অংশ বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর সাথে আঁতাত করে আমাকে পরাজিত করে। ২০১৯ সালে আমি আমি দলীয় মনোনীত প্রাথী হিসেবে জয় লাভ করি। এর পর থেকেই বিএনপি-জামায়াতের সাথে আঁতাতে থাকা দলের বিপথগামী ও স্বার্থান্বেষী মহলটি নানাভাবে আমাকে পর্যুদস্ত করতে না পেরে গত ৯ মে ২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি পদে আমার শক্ত অবস্থান দেখে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। বিশেষ করে সম্মেলনের দিন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নতুন সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা না করে পরবর্তীতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের পরামর্শে নাম চুড়ান্তকরণ সাপেক্ষে জানানোর ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই সেই স্বার্থান্বেষী মহলটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাকে জড়িয়ে নানা ধরনের সাজানো, মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিমূলক ও মানহানিকর তথ্য ছড়িয়ে আমার সর্ম্পকে জনমনে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।

এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচারকারীদের বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিবেন। অপর আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আশীয় দত্ত ভোলা হত্যার সাথে আমি জড়িত নই। ছাত্ররাজনীতি আমাকে বির্তকিত করতে একটি মহল আমাকে সহ আরও নিরীহ কয়েকজনকে ওই মামলা জড়ালেও পরবর্তীতে মামলার চুড়ান্ত তদন্তে সত্যতা না পাওয়ায় আদালত আমাকে সহ অন্যদের অব্যহতি দেন।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি কামাল হোসেন, সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়, উমর আলী, সাবেক সাংগঠনিক হারুন উর রশিদ, আব্দুল হালিম, সাবেক প্রচার সম্পাদক মজিবর, ইউপি চেয়ারম্যান ও মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোজাম্মেল হক, ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, কাংশা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা আব্দুল আজিজ দলু, ঝিনাইগাতী সদর ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদৎ হোসেন, শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক দত্ত সহ জেলা ও উপজেলার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।